Sale!

গরুর ঘানি ভাঙা সরিষার তেল [extra virgin mustard oil]

140.00৳ 2,300.00৳ 

কাঠের ঘানী ভাঙা সরিষার তেল হয় নির্ভেজাল, কেমিক্যাল মুক্ত ও ঘ্রাণ যুক্ত । সরাসরি প্রান্তিক চাষীর উৎপাদিত খাঁটি সরিষা , তাই আমাদের সন্ধির সরিষার তেলের ঝাঁজ খুব কড়া । একেবারে খাঁটি দেশীয় সরিষা কাঠের ঘানিতে ভাঙা হলে, সেই তেলের ঝাঁজ হয় খুবই কম। কিন্তু সুঘ্রাণ হয় তীব্র! যেখানে ইলেকট্রিক কলে পিষ্ট হয়ে ও অনেকটা পুড়ে যে সরিষার তেল পাওয়া যায়, তার সুঘ্রাণ তীব্র না থাকলেও, ঝাঁজ থাকে অনেক বেশি। কারণ, তেল তৈরির প্রক্রিয়ায় সরিষা পুড়ে তেল তৈরি হয়।

কাঠের ঘানী
চোখে গামছা বাঁধা অবস্থায় ছুটে চলে কলুর বলদ। কাঠের তৈরি এক গোলকার ছামে (ঢেকি সদৃশ) কতগুলো ভেজা সরিষা, তাতে একটি লাকরি বৈঠার মত কাঠে যুক্ত করা আর চওড়া একটি কাঠে বসে থাকেন তেলি যাকে কলুও বলা হয়। বলদ তাকে নিয়ে ঘুরছে আর তাতেই সরিষা পিষ্ট হয়ে একটি নালায় টপটপ করে আসে সরিষার তেল নিচে রাখা পটে । একমাত্র কাঠের ঘানিতেই সরিষা সম্পূর্ণভাবে পিষ্ট করা সম্ভব তাই কাঠের ঘানী ভাঙানো সন্ধির সরিষা তেল আজ সমাদৃত ।

শীতের দিনে ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল গায়ে মাখলে অল্পতেই শরীর গরম হয়ে যায় এবং শীত কম অনুভূত হয়। আর চানাচুর দিয়ে মুড়ি মেখে খেতে এ তেলের কোন জুড়ি নেই।

গরুর ঘানি ভাঙা সরিষার তেল [extra virgin mustard oil] 140.00৳ 2,300.00৳ 
গরুর ঘানি ভাঙা সরিষার তেল [extra virgin mustard oil] 140.00৳ 2,300.00৳ 

Flat shipping Rate All Over Dhaka

  • 2 days easy returns
  • Order yours before 2.30pm for same day dispatch (Uttara Only)
Guaranteed Safe Checkout

সরিষার তেলে থাকে বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ই, আলফা ওমেগা থ্রি এবং আলফা ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, ম্যাংগানিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এর ঔষধি গুণাগুণের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে এই তেল। ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্যের জন্য সরিষার তেলের অসাধারণ উপকারী।

সরিষার তেল খাওয়ার উপকারিতা ও সচেতনতা :

৭০% হৃদপিন্ডজনিত রোগের ঝুঁকি কমায় । এটা অলিভ অয়েলের চেয়ে ভাল , কারণ অলিভ অয়েলে ওমেগা – ৬ এবং ওমেগা – ৩ ফ্যাটি এসিডের সুষম ভারসাম্য নেই। এতে প্রচুর পরিমানে একক- অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড ( ৬৫-৭২%) থাকায় রক্তে খারাপ কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট ভাল রাখে।

এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল , গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল , টিউমার ইত্যাদি থেকে বাঁচায়।

খাওয়ার পাশাপাশি বাহ্যিকভাবে শরীরে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন ও ঘর্ম উদ্দীপিত হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা কমায়।

এতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই থাকায় ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে ত্বককে বলিরেখা , কালো দাগ, ব্রণ ইত্যাদি হতে রক্ষা করে।

সরিষার তেল এন্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করে যা বয়স লুকাতে সহায়তা করে।
অ্যাজমা , সাইনোসাইটিস , ঠান্ডা- কাশি নিরাময়ে।

চুল সাদা হওয়া , চুল পড়া, চুল কালো করা এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

হাড়ের সন্ধিস্থলের ব্যাথা এবং নিয়মিত মালিশ করলে বাতের ব্যাথায়ও উপকার পাওয়া যায়।

মূলতঃ একক- অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ভোজ্য তেলই শরীরের জন্য সবচেয়ে ভাল।

সতর্কতা: সরিষার তেলে শুধু এসিডের মাত্রাটা একটু বেশী আছে, যাদের এলার্জি তারা এটা এড়িয়ে যাবেন।