তোকমা বীজ পানিতে ভিজিয়ে খেতে হয় বলে এর একটি জেলী জাতীয় আবরণ হয়, যা পরিপাকে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে প্রচুর আঁশ থাকায় হজম, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া, আমাশয় ইত্যাদি সমস্যায় বেশ উপকারী ভূমিকা রাখে।
তোকমা বীজের তেল গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা দূর করতে সক্ষম। তোকমা খেলে ক্ষুধাভাব কমে আসে। পেট ভরা অনুভুত হয় বলে ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে। প্রোটিন, আঁশ, ভিটামিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে বলে শরীরে বল পাওয়া যায় তোকমা সেবনে। এছাড়াও সকালের নাস্তায় তোকমা খেলে সারাদিন শরীর থাকে ঝরঝরা।
তোকমা জ্বর কমাতে এবং শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে, তাই হাঁপানি রোগীরা নিয়মিত তোকমা ওষুধ হিসেবে সেবন করত পারেন। আবার এতে লাইনলিক ও ফ্যাটি এসিড থাকায় টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে। তোকমা গ্রহণকারী ইঁদুরের গবেষণায় এটি প্রমাণিত।
শরীরের প্রদাহ, ফোলা ভাব, আরথ্রাইটিসের সমস্যায় তোকমা দারুন উপকারী। কোলেস্টেরল, হৃদরোগের সমস্যা সমাধানেও তোকমা ব্যবহার হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, লিপিড স্তর সীমিত রেখে দুশ্চিন্তা দূর করে। আবার তোকমা মুখের নানা ধরণের ইনফেকশন, আলসার, প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয়ও রোধ করে।
তোকমা খাওয়ার সময় পানিতে ভিজিয়ে নিতে হবে। পরিপূর্ণ ভিজে ফুলে উঠলে শরবত বা পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নিতে হবে। তবে শিশু ও গর্ভবতীদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়া ভাল। যারা এখনো তোকমা খাওয়া শুরু করেননি তারা প্রতিদিন এক চামচ করে শুরু করতে পারেন। আর পার্থক্যটা নিজে থকেই বুঝতে পারবেন।
Reviews
There are no reviews yet.