চলুন গিয়ে মুড়ি খাই!!!
মুড়ি কি-
মুড়ি ধান থেকে তৈরি একধরনের স্ফীত খাবার বা ভাজা চাল, সাধারণত প্রাতরাশ বা জল খাবারে খাওয়া হয়, যা ভারত, বাংলাদেশে জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিত। এটি সাধারণত চালের অন্তর্বীজ। গরম করে বাষ্প উপস্থিতিতে উচ্চ চাপের সাহায্যে তৈরি করা হয়, যদিও এর প্রস্তুত পদ্ধতি ব্যাপকভাবে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
মুড়ির অন্যান্য নাম:
পাফ্ড রাইচ, মুধি, মুরাই, ভাজা, হুড়ুম, লাইয়্যা, মুড়মুড়ে, ইত্যাদি।
উৎপত্তিস্থল:
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, কোরিয়া
অঞ্চল বা রাজ্য
ভারতীয় উপমহাদেশ।
ব্যবহার:
ছনার সাথে আমরা মুড়ি খাই,
চানাচুর সাথে আমরা মুড়ি খাই,
আরও খাই কলা সাথে,
নারিকেল সাথে মুড়ির তো জবাব ই নেই,
বেগুনি,পেঁয়াজু সাথে তো আছেই,
আবার অনেকে মাছ-মাংসের ঝুল দিয়েও মুড়ি খেয়ে থাকেন,
শরবত /চা দিয়ে মুড়ি ডুবিয়ে ডুবিয়ে খেতে দারুন মজা,
আবার ঘরে কিছুই না থাকলে তখন শুধু সরিষার তেল দিয়েও মুড়ি খাওয়া যায় ইত্যাদি।
উপকারিতা :
১৪ গ্রাম মুড়িতে রয়েছে ৫৬ ক্যালরি।
কার্বোহাইড্রেটস ১২.৬ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম,
ফ্যাট মাত্র ০.১ গ্রাম,
ফাইবার ০.২ গ্রাম,
পটাসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪.৪৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৪ মিলিগ্রাম, থিয়ামাইন ০.৩৬ মিলিগ্রাম এবং নিয়াসিন ৪.৯৪ মিলিগ্রাম।
লো ক্যালরি :
কম ক্যালরির পেট ভরানোর খাবার মানেই মুড়ি। যাদের বার বার ক্ষিধে পায়, অথচ সারাদিনে বেশিরভাগ সময়ে অফিসে বা বাড়িতে বসে কাজ করার জন্যে শরীরে ক্যালরির চাহিদা কম, তাদের জন্যে বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে মুড়ি হতে পারে আদর্শ খাবার।
এসিডিটির যম:
মুড়ি এসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।এসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মুড়ির বিকল্প নেই। তাই মুড়ি এসিডিটির যম।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ::
রক্তচাপের সমস্যা আজকাল সব বয়সের মানুষের ই কম-বেশি হয়ে থাকে।আর মুড়িতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম। তাই এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি হ্রদ রোগের ঝুঁকি কমাই।
পুষ্টিগুণ::
মুড়িতে রয়েছে নিউরোট্রান্সমিটার পুষ্টিগুণ। ফলে মুড়ি খেলে মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্কের উন্নতি এবং কগনেটিভ ফাংশনের উন্নিতে সাহায্য করে।
পেটের সমস্যা::
পেটের সমস্যায় শুকনো মুড়ি কিংবা ভেজা মুড়ি খেলে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা::
মুড়িতে ভিটামিন বি এবং প্রচুর পরিমাণে মিনারেল থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই করোনা কালে ভিটামিন সি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি মুড়ি ও কিন্তু আপনাকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করবে।
হাড় ও দাঁত ::
মুড়ি ভিটামিন ডি, রাইবোফ্লাভিন এবং থিয়ামিনের উৎস। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার। তাই মুড়ি খেলে হাড় ও দাঁত শক্ত হয়।সুতরাং,বুড়া বয়সেও দাঁত দিয়ে গরুর হাড়-মাংস চিবিয়ে খেতে আপনাকে সহায়তা করবে এই মুড়ি।
শক্তির উৎস::
মুড়িতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে শর্করা। এটি আমাদের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন কাজে সক্রিয় থাকতে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে মুড়ি।
ডায়েট এর ক্ষেত্রে:
আজকাল মানুষ শরীর নিয়ে বেশ সচেতন।ছেলে-মেয়ে, ছোট-বড় নির্বিশেষে সকলকে আজকাল ডায়েট করতে দেখা যায়।ডায়েট এর ক্ষেত্রে এই মুড়ি আপনাকে খুব ভাল কাজ দিবে।ক্ষিধে লাগলে ঝটপট মুড়ি খেয়ে নিবেন।এতে না আছে ক্যালরি বাড়ার চিন্তা, না আছে ফ্যাট বাড়ার সম্ভাবনা ।
Reviews
There are no reviews yet.